ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসির বিশেষ অভিযান শুরু

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ায় পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সপ্তাহব্যাপী বিশেষ অভিযান পরিচালনা শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।

রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) ডিএনসিসির ১০টি আঞ্চলিক কার্যালয়ের আওতাধীন এলাকায় এই অভিযান শুরু হয়েছে।

কর্পোরেশনের উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লে. কর্নেল ডা. মো. গোলাম মোস্তফা সারওয়ার বলেন, আজ সকাল থেকে ডিএনসিসি আওতাধীন প্রতিটি এলাকায় এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সপ্তাহব্যাপী বিশেষ অভিযান পরিচালনা শুরু হয়েছে। উত্তর সিটি কর্পোরেশনের দশটি অঞ্চলে দশটি টিম এ অভিযান পরিচালনা করছে।

তিনি বলেন, অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হবে। এডিসের লার্ভা পেলেই নেওয়া হবে আইনানুগ ব্যবস্থা।

ডিএনসিসির ২১ নম্বর ওয়ার্ডে মশক নিধন কার্যক্রমের দায়িত্বে থাকা আব্দুর রশিদ বলেন, মেয়রের নির্দেশনা অনুযায়ী ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আমাদের সপ্তাহব্যাপী বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। সকাল থেকে আমরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছি। সেখানে মশার বংশ বিস্তার উপযোগী পরিবেশ আছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখছি। সেই সঙ্গে আমাদের কর্মীরা ওষুধ স্প্রে করছে। কোনো বাসায় মশার বংশ বিস্তার উপযোগী পরিবেশ পেলে আমরা সেখানে স্টিকার লাগিয়ে দিচ্ছি এবং বাড়ি মালিককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দিচ্ছি।

এ বিষয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম গতকাল বলেছেন, এডিসের লার্ভা পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী নিয়মিত মামলা হবে। কঠোর থেকে কঠোরতর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপনার বাড়ি বা স্থাপনার ভেতরে, বাইরে, আশপাশে কোথাও পানি জমে থাকলে এখনি ফেলে দিন। ডেঙ্গু থেকে আপনি সুরক্ষিত থাকুন, আপনার পরিবার ও প্রতিবেশীকেও সুরক্ষিত রাখুন। বাড়িতে লার্ভার চাষ করে শাস্তি না পেয়ে বরং লার্ভার উৎস ধ্বংস করে পুরস্কৃত হোন।

নগরবাসীর উদ্দেশ্যে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, শুধু সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে পুরোপুরিভাবে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে জনগণের সহযোগিতা অতি গুরুত্বপূর্ণ। জনগণের আন্তরিক সহযোগিতায় গত ঈদে মাত্র ১২ ঘণ্টায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করতে সক্ষম হয়েছি। জনগণের সহযোগিতা পেলে আমরা ডেঙ্গুও সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারব। নিজেদের বাসাবাড়িতে ফুলের টব, অব্যবহৃত টায়ার, ডাবের খোসা, চিপসের খোলা প্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের খোলা পাত্র, ছাদ কিংবা অন্য কোথাও যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।